এবিএনএ : বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ জাপানে এ বছর জন্মহার কমার ক্ষেত্রে রেকর্ড হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুহারও। মঙ্গলবার জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ওই দেশে জন্মগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা ৮ লাখ ৬৪ হাজার, যা ১৮৯৯ সালের পর সর্বনিম্ন। এছাড়া ২০১৮ সালের তুলনায় এ বছর নবজাতকের সংখ্যা ৫৪ হাজার কমে গেছে।
এদিকে জাপানে মৃত্যুহারও এ বছর রেকর্ড ছুঁয়েছে। ২০১৯ সালে জনসংখ্যা কমেছে ৫ লাখ ১২ হাজার, যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় সবোর্চ্চ। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রবীণ জনসংখ্যা এখন জাপানে। এখানকার জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশের বয়স ৬৫ এর বেশি।২০১৮ সালে জাপানের জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪ লাখ। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৬৫ সালে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৮ কোটি ৮ লাখে।
তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটির জনসংখ্যা ১০ কোটির নিচে যাওয়া রোধ করতে চান। এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এজন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ওই দেশের সরকার ৩ থেকে ৫ বয়সী শিশুদের প্রি-স্কুলের জন্য ১৮ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া ২ বছর বয়সী শিশু এবং স্বল্প আয়ের পরিবারের শিশুর জন্য ডে-কেয়ারের ব্যবস্থা করেছে।
দেশটির জনসংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে শ্রমশক্তি কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রবীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা এবং অবসরকালীন ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়ছে। শুধু জাপান নয়, ইউরোপের অনেক দেশই শিশু জন্মহার নিয়ে একই সমস্যায় ভূগছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রবীণের সংখ্যা। ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতেও জাপানের মতোই একই সমস্যা দেখা দেবে।